বড় ধরনের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়েই আগামী অর্থবছরের জন্য আগাম বাজেট পরিকল্পনা করছে সরকার। করোনাকালীন অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রায় ৬ লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করতে যাচ্ছে সরকার। অর্থনীতি বিশ্লেষক ও ব্যবসায়িরা বলছেন, অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও গতি ফেরাতে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান তৈরিতে বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে সরকারকে।
বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে টেনে তুলতে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে পুনরুদ্ধারমূলক বাজেট দেন অর্থমন্ত্রী। যেখানে অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই করোনা চলে যাবে এমনটা ধরা হলেও ভিন্ন বাস্তবতায় আবারো নতুন অর্থবছরের বাজেট নিয়ে হিসাব নিকাশ করতে হচ্ছে সরকারকে।
অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র বলছে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়ণে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। জনস্বাস্থ্য ও করোনা মোকাবিলাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও গতিশীল করতে আসছে বাজেটের আকার হতে পারে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা। বিশাল ব্যয়ের এই খসড়ায় মোট আয়ের পরিকল্পনা থাকছে ৩ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা যা জিডিপির প্রায় ১১ শতাংশ। তবে করোনার কারণে কমে আসবে রাজস্ব আয়; এনবিআরের লক্ষ্য থাকছে ৩ লাখ ৩৫ হাজার কোটি। ফলে ঘাটতি বাজেট ছাড়িয়ে যাবে অন্তত ২ লাখ কোটি টাকা। তবে এ সময়েও প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
দশটি খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে এবারের বাজেটে। করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, প্রণোদনা প্যাকেজের বাস্তবায়ন, খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার, এক কোটি মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় নিয়ে আসা, গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ, দরিদ্রদের বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা উল্লেখযোগ্য। এসব তথ্য জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
টিকে থাকার বাজেটে সরকারি বেসরকারি বিনিয়োগ হার ধরা হচ্ছে জিডিপির ৩২ শতাংশ। আর মূল্যস্ফীতির হার মাত্র ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।